মুস্তাফিজুর রহমানের সাথে নিজের তুলনা করলেন সাইফউদ্দিন

ডেথ ওভারে দারুণ বোলিং করে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে রুদ্ধশ্বাস এক জয় এনে দিয়েছেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। ম্যাচ শেষে ডানহাতি এই পেস অলরাউন্ডার জানালেন, ডেথ ওভারে বোলিংয়ের জন্য মুস্তাফিজুর রহমানকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়েছেন তিনি।

শুক্রবার মিরপুরে ১২৮ রান তাড়ায় শেষ চার ওভারে ঢাকা ডায়নামাইটসের দরকার ছিল ৩৮ রান। ক্রিজে তখন দুই হার্ড হিটার ব্যাটসম্যান কাইরন পোলার্ড ও আন্দ্রে রাসেল। ১৭তম ওভারে সাইফউদ্দিন মাত্র ২ রান দিয়ে পরপর দুই বলে তুলে নেন পোলার্ড ও নুরুল হাসানের উইকেট।

ঢাকার জন্য সমীকরণটা শেষ ওভারে দাঁড়ায় ১৩ রানে। তখনো উইকেটে রাসেল। প্রথম বলে সাইফউদ্দিন এলবিডব্লিউ করে ফেরান রুবেল হোসেনকে। দ্বিতীয় বলে শাহাদাত হোসেন নেন সিঙ্গেল। স্ট্রাইকে যাওয়া রাসেল পরের দুই বলে কোনো রান নিতে পারেননি। পঞ্চম বলে হাঁকান ছক্কা। শেষ বলে দরকার ৬। তবে ডানহাতি পেসারের দারুণ ইয়র্কার রাসেলের ব্যাটের কানায় লেগে উইকেটের পেছন দিয়ে হয় শুধু চার। দলের ১ রানের জয়ে চার ওভারে ২২ রানে ৪ উইকেট নিয়ে নায়ক সাইফউদ্দিন।

ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে ২২ বছর বয়সি অলরাউন্ডার জানালেন, শেষ ওভারের পরিকল্পনা, ‘সবাই পরিকল্পনা নিয়ে আগায়। আমার পরিকল্পনা ছিল ওয়াইড ইয়র্কার। তবে রাসেল পাওয়ার হিটার, সে ভালো ছয় মেরে দিয়েছে। যেহেতু ওয়াইড ইয়র্কার হয়নি তাই শেষ বল একশভাগ ইয়র্কার করেছি। সবচেয়ে বড় কথা হলো, মুস্তাফিজ একই রকম একটা ম্যাচ জিতিয়েছিল রংপুরের বিপক্ষে। আমি এগুলো অনুভব করছিলাম। মুস্তাফিজ আমার বয়সি। ও পারলে আমি কেন পারব না। এই জিনিসটা মাথায় রেখে আমি বল করে সফল হয়েছি।’

এখন চাপের মধ্যে বোলিং করা উপভোগ করেন বলেও জানালেন সাইফউদ্দিন, ‘আমরা যারা ক্রিকেটার, যারা আন্তর্জাতিক খেলোয়াড়। এদের মধ্যে যারা স্টার, এভারেজ খেলোয়াড় হলে কোনো দাম নেই। অন্য খেলোয়াড় থেকে অতিরিক্ত অনেক কিছু দেখাতে হবে। এটা আমি মাথায় নিয়েই বোলিং করি। কারণ আমাকে কুমিল্লা অনেক গুরুত্ব দেয়, সেই গুরুত্বটা সব সময় ধরে রাখার চেষ্টা করি। আর আমি উপভোগ করি চাপের মধ্যে বল করতে।’

শেষ দিকে দেখা যায় প্রতিটা বল করার আগে সাইফউদ্দিনকে পরামর্শ দিচ্ছিলেন সতীর্থ তামিম ইকবাল। তামিমকে তাই বিশেষ ধন্যবাদও দিলেন তরুণ পেসার, ‘তামিম ভাইকে ধন্যবাদ, তিনি প্রতিটি বলে সাহস দিচ্ছিলেন। সবচেয়ে বড় কথা হলো, সামনে যেহেতু বিশ্বকাপ। স্বাভাবিক আমার চেষ্টা অন্য কিছু করার। যেহেতু ওয়ানডে দলে জায়গা ধরে রাখা খুব চ্যালেঞ্জিং। শুরু থেকেই আমি চেষ্টা করছি কিছু একটা করতে হবে, সেই চেষ্টাই করছি।’

আজকের বাজার/এমএইচ