বিজ্ঞজনেরা বলে থাকেন, নারীর মন কখন কী চায় তা সে নিজেও ঠিক জানে না! মেয়েদের সম্পর্কে আরেকটি প্রচলিত ধারণা আছে যে তারা কোনোকিছুই গোপন রাখতে পারে না।
অর্থাৎ তাদেরকে একটি কথা গোপন রাখতে বলা হলে তারা আরো দশজনকে সেটি বলে দেবে জল ঘোলা করে দেয়। অন্যের কথা গোপন রাখতে পারুক বা না পারুক নিজের কিছু বিষয় তারা ঠিকই গোপন রাখতে জানে!
যদিও সেসব বিষয় গোপন না রাখলেও খুব একটা ক্ষতির কারণ নেই, তবু কোনো এক রহস্যময় কারণে কিছু বিষয় গোপন রাখা তাদের স্বভাবগত বৈশিষ্ট্য মনে করেন!
প্রথম প্রেম
সাধারণত যেকোনো মানুষ প্রথমবার প্রেমে পড়ে তার কৈশোরেই। কারণ এই সময়টাতে সে জগৎ ও জীবন সম্পর্কে নতুন নতুন ধারণা পায়, নতুন নতুন কৌতুহল জন্মায়। বিপরীত লিঙ্গের মানুষের প্রতিও স্বভাবজাত আকর্ষণটাও তাই এই সময়টাতেই জন্মায়। কিন্তু প্রথমবার প্রেমে পড়ার কথা ছেলেরা যতটা অকপটে স্বীকার করে, মেয়েরা তা কখনোই করে না!
বয়স
একটি মজার কৌতুক আছে এরকম- মেয়েদের বয়স আর ছেলেদের উপার্জন সম্পর্কে জানতে চাইতে নেই। কারণ মেয়েরা নিজের জন্য বাঁচে না আর ছেলেরা নিজের জন্য উপার্জন করে না। এটি নিছকই কৌতুক হলেও এটি কিন্তু সত্যি যে মেয়েরা তাদের সঠিক বয়স বলতে অভ্যস্ত নয়। নিজেকে বেশি সময় ধরে তরুণী প্রমাণ করতেই সম্ভবত তারা এমনটা করে থাকে। অথবা একধরনের হীনমন্যতা থেকেও তারা এটি করতে পারে। বয়স বেড়ে গেলে অনেকের কাছে মূল্য হারাবে এমন আশঙ্কা থেকেও তারা বয়স কমিয়ে বলতে পছন্দ করে!
জন্ম তারিখ
জন্ম তারিখটা বলে তবে সঠিক জন্ম সাল সহজে বলতে চায় না। কারণ ওইযে বয়স! জন্ম সাল বলে দিলে যে কেউ তার বয়সের হিসাবটা জেনে যাবে। আর তাইতো জন্ম সালটা সবার কাছ থেকে একেবারেই লুকিয়ে রাখতে চায়।
সৌন্দর্যের রহস্য
কোনো সুন্দরীর কাছে জিজ্ঞেস করে দেখুন সে কী করে এতটা সুন্দরী হলো! বিনিময়ে কিন্তু সে একটুখানি রহস্যময় হাসিই দেবে শুধু। এর অর্থ অনেকটা এরকম- সুন্দর মানেই রহস্য, তা তোমার কাছে ফাঁস করবো কেন! কোন বিউটি প্রোডাক্ট মেখে সে আরও বেশি সুন্দরী হয়েছে তা বলে দিলে আরও অনেকেই সুন্দরী হয়ে যেতে পারে সেই ভয় থেকেও হয়তো বলতে চায় না।
ওজন
কোনো এক অদ্ভুত কারণে মেয়েরা তাদের ওজন সম্পর্কেও সঠিক তথ্য দিতে চায় না। মোটা মেয়ে মানে সুন্দর নয় এমন একটি ভ্রান্ত ধারণা থেকেই তারা এমনটা করে থাকে সম্ভবত। যদিও চোখের আন্দাজে অনেকের উচ্চতা ও ওজন সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায় তবু তারা নিজ মুখে সত্যিটা বলতে চায় না!
স্বামীর উপার্জন
স্বামীর উপার্জন বেশি হোক বা কম, মেয়েরা তা অন্যদের বলতে পছন্দ করে না। কম হলে তা অন্যদের কাছে ছোট হওয়ার ভয়ে আর বেশি হলে অন্যদের কাছে ঈর্ষার পাত্রী হওয়ার ভয়ে বলে না হয়তো।
পুরোটা পড়ে মেয়েদের ক্ষেপে যাওয়ার অধিকাংশ মেয়ে এমনটা করে থাকে। এর মানে কিন্তু এই নয় যে সব মেয়েই এমনটা করে! আপনি যদি ক্ষেপে যান তার মানে কিন্তু আপনিও সেই অধিকাংশ মেয়েরই একজন!
আজকের বাজার/আরআইএস
