যুদ্ধবিরতির আলোচনায় অনুমোদন নেতানিয়াহুর

ইসরায়েলেী প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু শুক্রবার গাজায় যুদ্ধবিরতির নতুন করে আলোচনা শুরু করার সবুজ সংকেত দিয়েছেন।
গাজায় ভয়াবহ পরিস্থিতিতে থাকা নাগরিকদের কাছে ত্রাণ সরবরাহ নিশ্চিত করতে ইসরায়েলকে বিশ্বের শীর্ষ আদালতের নির্দেশের একদিন পর নেতানিয়াহু আলোচনা নতুন করে শুরুর অনুমোদন দিলেন।
এদিকে অতিসম্প্রতি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানানো সত্ত্বেও অবরুদ্ধ গাজায় লড়্ইা আরো তীব্র হয়েছে।
গাজায়  হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গতরাতে ইসরায়েলের হামলায় বেশ কিছু লোক প্রাণ হারিয়েছেন।
নিহতদের মধ্যে ১২ জন দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফা শহরের যেখানে ইসরায়েল স্থল অভিযান চালানোর হুমকি দিচ্ছে। তবে সেখানে বোমা হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল।
নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে বলা হয়েছে, গাজায় যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তি সংক্রান্ত নতুন আলোচনা সামনের দিনগুলোতে দোহা ও কায়রোতে অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে হেগে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) তার এক রায়ে বলেছেন, গাজায় মানবিক পরিস্থিতির অবনতি মোকাবেলায় ইসরায়েলকে আরো কিছু করতে হবে বলে দক্ষিণ আফ্রিকার যুক্তিটি তারা মেনে নিয়েছে।
আইসিজে আরো বলেছে, গাজার ফিলিস্তিনীরা দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে নয়, তারা দুর্ভিক্ষে আছে।
ফিলিস্তিনী শরণার্থী বিষয়ক জাতিসংঘ সংস্থার প্রধান ফিলিপ লাজ্জারিনি বলেছেন, গাজার ভয়ঙ্কর মানবিক পরিস্থিতি যে মানবসৃষ্ট এবং তা আরো খারাপ হচ্ছে। এই রায় তীব্রভাবে আামদের সেই কথাই মনে করিয়ে দিচ্ছে।
এদিকে গাজার কয়েকটি হাসপাতালে ইসরায়েল যে অভিযান শুরু করেছিল তা অব্যাহত থাকায় সেখানকার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার কথা জানিয়েছে জাতিসংঘ।
এছাড়া গাজার বিভিন্ন স্থানে হামাসের সাথে ইসরায়েলী বাহিনীর লড়াই অব্যাহত রয়েছে।
নেতানিয়াহু বলেছেন, গাজার উত্তরাঞ্চল এবং দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনুস শহরে তীব্র লড়াই চলছ্।ে
উল্লেখ্য, গতবছরের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনী সংগঠন হামাস ইসরায়েলে আকস্মিক বড়ো ধরনের হামলা চালায়। এর প্রতিশোধ হিসেবে ইসরায়েল গাজায় ভয়াবহ অভিযান শুরু করে এবং তা অব্যাহত রেখেছে।
গাজায় অব্যাহত এই হামলায় এই পর্যন্ত ৩২ হাজার ৬২৩ ফিলিস্তিনী বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। যাদের অধিকাংশ নারী ও শিশু।