রামপাল প্রকল্পে বার্ষিক ক্ষতি ১০০ মিলিয়ন ডলার

রামপাল কয়লা ভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বার্ষিক ক্ষতির পরিমাণ ১০০ মিলিয়ন ডলার ছাডিয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটি।

বুধবার ১৭ মে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটির উদ্যেগে রামপাল তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পের কয়লার ছাই অপসারণে সম্ভাব্য বিপদাপন্ন পরিবেশ নিরুপন প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান সংগঠনটির বিশ্লেষকরা৷

একই সঙ্গে জলজ প্রাণী-বন্যপ্রাণী এবং মানুষের ওপর নতুন করে হুমকি তৈরি করবে বলেও জানান তারা।

সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটির আহবায়ক সুলতানা কামালের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ গ্রহণ করেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবুল বাসার এবং আব্দুল আজিজ, ওয়াটার কিপার বাংলাদেশের সমন্বায়ক সরিফ জামিল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জিওলজি বিভাগের অধ্যাপক বদরুল ইমাম এবং কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন প্রমূখ৷ এ সময় আমেরিকা থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন গবেষক অধ্যাপক এ ডেনিস লেমলি৷

রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অর্থনৈতিক বার্ষিক ক্ষতির পরিমান প্রতি বছর খুব সহজেই ১০০ মিলিয়ন ডলার ছাডিয়ে যেতে পারে উল্লেখ করে বিশ্লেষকরা বলছেন, যা পরিবেশ এবং জনসম্পদের ক্ষতির মাধ্যমেই সাধিত হবে৷ প্রকল্পটি চালু হলে সুন্দরবন এবং তার আশপাশের এলাকাগুলোতে বড ধরনের পরিবেশ বিপর্যয় ঘটবে৷

রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কয়লার ছাই, মাছ এবং বন্যপ্রাণীর ওপর মারাত্বক বিষাক্ততা সৃষ্টি করবে৷ যা শুক্রাণু ও ডিম্বাসয়ের ক্ষতিসহ মানুষের উপর দীর্ঘ মেয়াদি প্রভাব বিস্তার করবে৷ বিজ্ঞানীদের বিভিন্ন গবেষণা প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বিশ্লেষকরা এ কথা বলেন৷

বিশ্লেষকরা আরো বলেন, রামপাল প্লান্টটি বায়ুর ঝুঁকি অঞ্চলে হওয়ায় ঘুর্নিঝডের ফলে জলোচ্ছাসের ঝুঁকিতে রয়েছে৷ সেখানে বাৎসরিক ৭,৪ মিটার জলোচ্ছাসের পূর্বাভাস করা হয়েছে যা কয়লার ছাইয়ের পুকুরের দেয়াল ভেঙে ফেলতে পারে৷ এ কারণে মিলিয়ন টনের ছাইকে সুন্দরবন বদ্বীপ ও বঙ্গোপসাগরে ডাম্পিং করতে পারে৷

আজকের বাজার: আরআর/ ১৭ মে ২০১৭