রাশিয়ার সঙ্গে যোগসাজশ : ট্রাম্পের সাবেক উপদেষ্টার সাজা

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাবেক একজন উপদেষ্টাকে ১৪ দিনের কারাদণ্ড দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের আদালত। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন প্রভাবিত করতে রাশিয়ার সঙ্গে যোগসাজশ করেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত উপদেষ্টার নাম জর্জ পাপাডোপোলস (৩১)। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া তিনিই প্রথম ব্যক্তি। তিনি ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণা প্যানেলের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা ছিলেন।

স্থানীয় সময় শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসির আদালত ১৪ দিনের কারাদণ্ডের পাশাপাশি জর্জকে সাড়ে নয় হাজার ডলার জরিমানা করেন। এ ছাড়া তাঁকে ২০০ ঘণ্টার বাধ্যতামূলক সমাজসেবাসহ মুক্তির পর ১২ মাসের নজরদারির শাস্তি দেওয়া হয়।

জর্জ স্বীকার করেন, তিনি এ মামলার তদন্তকালে কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরোকে (এফবিআই) মিথ্যা বলেছিলেন এবং এ জন্য অনুতপ্ত।

২০১৭-এর জানুয়ারিতে এফবিআইকে ট্রাম্পের উপদেষ্টা বলেন, রাশিয়ার এক নারী ও মাল্টার প্রফেসর জোসেফ মিফসুদের সঙ্গে ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণা দলে যোগদানের আগেই দেখা করেন। পরে প্রমাণ হয়, আসলে তিনি ওই দুজনের সঙ্গে নির্বাচনী প্রচারণা দলে থাকা অবস্থায় সাক্ষাৎ করেছিলেন।

ওয়াশিংটন ডিসিতে আদালতের বাইরে জর্জের আইনজীবী টমাস ব্রিন বলেন, ‘আমার মক্কেল একজন বোকা লোক, এফবিআইয়ের কাছে তথ্য দেওয়ার সময় অথর্বের মতো কাজ করেছেন।’

রায়ের প্রতিক্রিয়ায় প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক টুইট বার্তায় ‘কোনো যোগসাজশ হয়নি’ বলে জানান। এর আগেও ট্রাম্প বেশ কয়েরকবার একে ‘ভুয়া খবর’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।

কিছুদিন আগে এ নিয়ে লন্ডনের একটি পানশালায় দেওয়া জর্জের বক্তব্য ছড়িয়ে পড়লে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। বিচারেও তাঁর ওই বক্তব্যকে আমলে নেওয়া হয়।

বিবিসি জানায়, প্রফেসর জোসেফ মিফসুদ ট্রাম্পের উপদেষ্টা জর্জকে জানান যে, নির্বাচনে ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের নামে হাজার হাজার ই-মেইলের মাধ্যমে কুৎসা রটানো হচ্ছে এবং তাতে রাশিয়ার সরকারের হাত রয়েছে। পরে জর্জ প্রস্তাব দেন নির্বাচনের আগে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাওয়া উচিৎ ট্রাম্পের। প্রস্তাবটি অন্যরা নাকচ করে দিলেও এতে মাথা নেড়ে সায় দেন ট্রাম্প।

সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জর্জ পাপাডোপোলস জানান, প্রস্তাব দেওয়ার সময় ট্রাম্প মাথা নেড়ে সায় দিয়েছিলেন বটে, কিন্তু এ বিষয়ে কিছুই ঘটেনি।