শেষ হাসিটা হাসলেন মুস্তাফিজই

বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ বিপিএলের ফাইনালে শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) মুশফিকুর রহীমের খুলনা টাইগার্সকে ২১ রানে হারিয়ে শিরোপা উঁচিয়ে ধরেছেন রাজশাহী রয়্যালসের আন্দ্রে রাসেল। তাতে বিপিএল পেয়েছে নতুন চ্যাম্পিয়ন। সঙ্গে মিলেছে একজন নতুন চ্যাম্পিয়ন অধিনায়কও।

সদ্য শেষ হওয়া বিপিএলের সপ্তম আসরের শুরুটা দুর্দান্ত না হলেও শেষদিকে নিজেকে প্রমাণ করেছেন বাঁহাতি টাইগার পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। বুঝিয়ে দিয়েছেন এত জলদি ফুরিয়ে যাবার পাত্র নন তিনি।

ফাইনালের মঞ্চে না থেকেও মুস্তাফিজ ছিলেন আলোচনায়। তাকে কেউ কি টপকে যেতে পারবেন? সুযোগ ছিল মোহাম্মদ আমির, রবি ফ্রাইলিঙ্ক ও শহীদুল ইসলামের। কিন্তু তারা কেউই বড় মঞ্চে বড় কিছু করে দেখাতে পারেননি। ফলে টপকাতে পারেনি মুস্তাফিজকে।

গ্রুপ পর্ব পেরুতে পারেনি মুস্তাফিজুর রহমানের দল রংপুর রেঞ্জার্স। ১২ ম্যাচে এ পেসার পেয়েছেন ২০ উইকেট। সমান সংখ্যক উইকেট মোহাম্মদ আমির, রুবেল হোসেন ও রবি ফ্রাইলিঙ্কের। কিন্তু ইকোনমি রেট ও রান বেশি খরচ করায় তারা তিনজন মুস্তাফিজের থেকে পিছিয়ে পড়েছে। ১২ ম্যাচে ৪৪.৩ ওভারে ৩১২ রানে ২০ উইকেট পেয়েছেন মুস্তাফিজ। ইকোনমি রেট ৭.০১।

বিপিএলের এবারের আসরে সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক

মুস্তাফিজুর রহমান (রংপুর রেঞ্জার্স) – ১২ ম্যাচে ২০ উইকেট, সেরা বোলিং ১০ রানে ৩ উইকেট
মোহাম্মদ আমির (খুলনা টাইগার্স) – ১৩ ম্যাচে ২০ উইকেট, সেরা বোলিং ১৭ রানে ৬ উইকেট
রুবেল হোসেন (চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স) – ১৩ ম্যাচে ২০ উইকেট, সেরা বোলিং ১৭ রানে ৩ উইকেট
রবি ফ্রাইলিঙ্ক (খুলনা টাইগার্স) – ১৪ ম্যাচে ২০ উইকেট, সেরা বোলিং ১৬ রানে ৫ উইকেট
শহীদুল ইসলাম (খুলনা টাইগার্স) – ১৩ ম্যাচে ১৯ উইকেট, সেরা বোলিং ২৩ রানে ৪ উইকেট

আজকের বাজার/আরিফ