সন্ত্রাসবিরোধী অবস্থানে বাংলাদেশের সঙ্গে থাকতে চায় সুইডেন

সন্ত্রাসের বরিুদ্ধে লড়াই করতে সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্র হিসেবে জ্বালানি নিরাপত্তা, প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন, ব্যবসা এবং নগর উন্নয়নে একযোগে কাজ করতে অঙ্গীকারাবদ্ধ হয়েছে বাংলাদেশ ও সুইডেন।

বৃহস্পতিবার স্টকহোমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সুইডিশ প্রধানমন্ত্রী স্টিফেন লোফভেনের মধ্যে দ্বি-পাকি বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে এই মতৈক্য হয়। সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী স্টিফেন লোফভেনের কার্যালয়ে এই দ্বিপাকি বৈঠক শেষে পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক বলেন, এটাই বাংলাদেশের কোনো সরকার বা রাষ্ট্র প্রধানের সুইডেনে প্রথম দ্বি-পাকি সরকারি সফর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই দ্বি-পাকি সফরের মধ্যদিয়ে দুই দেশের মধ্যে সর্ম্পকরে েেত্র নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে।

সুইডিশ প্রধানমন্ত্রীর বরাত দিয়ে তিনি বলেন, এই সফরের মধ্য দিয়ে দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি সর্ম্পকরে দুয়ারও উন্মোচিত হয়েছে।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, সন্ত্রাসের বরিুদ্ধে লড়াইয়ে একযোগে কাজ করার বিষয়ে অঙ্গীকারাবদ্ধ হয়েছেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী। বিভিন্ন বিষয়ে বস্তিারতি আলাপ-অলোচনা করেছেন দুই নেতা। দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতার জন্য জ্বালানি নিরাপত্তা, প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন, ব্যবসা এবং নগর উন্নয়ন খাতকে চিহ্নিত করেন তারা।

বাংলাদেশকে প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের বিষয়ে সহযোগিতা করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, এেেত্র দুইটি দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে।

লোফভেনের বরাত দিয়ে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, বর্তমানে দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য অনেকটাই বাংলাদেশের অনুকূলে রয়েছে। বর্তমানে অনেক উন্নয়নশীল দেশে স্মার্ট সিটি প্রতিষ্ঠার বিষয়ে সহযোগিতা করছে সুইডেন।

শহীদুল হক বলেন, স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়ায় সুইডেনকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সুইডেন সব সময়ই বাংলাদেশকে সহযোগিতা প্রদান করে আসছে।

অর্থনৈতিক উন্নয়নের অংশ হিসেবে দেশের শিল্পায়নে বর্তমান সরকারের উদ্যোগে সারাদেশে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার বিষয়টিও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
২০৩০ উন্নয়ন এজেন্ডার বিষয়ে সুইডেনকে মুখ্য ভূমিকা পালনকারী দেশ হিসেবে উল্লেখ করে শহীদুল হক বলেন, ২০৩০ উন্নয়ন এজেন্ডা বাস্তবায়নে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে সহযোগিতা করতে চায় সুইডেন। সেেেত্র বাংলাদেশকে সম্ভাবনাময় দেশ হিসেবে চিহ্নিত করেছে তারা।

বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ.এইচ. মাহমুদ আলী, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব সুরাইয়া বেগম, শ্রম সচিব মিকাইল সিপার, সুইডেনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম সারোয়ার এবং বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপ (বিআইডিএ) নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী আমিনুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

আজকের বাজার: আরআর/ ১৬ জুন ২০১৭