সাজাপ্রাপ্তদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ বিষয়ে হাইকোর্টের রায় আপিল বিভাগে বহাল

ছবি : ইন্টারনেট

দুই বছরের বেশি সাজা হলে কেউ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না হাইকোর্টের এমন আদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।

বুধবার, ২৮ নভেম্বর প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে এ জেড এম জাহিদ হোসেনের আবেদনে ‘নো অর্ডার’ দিয়ে এই আদেশ দেন।

আদালতে এ জেড এম জাহিদ হোসেনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা। দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান।

এর আগে, মঙ্গলবার বিচারিক আদালতে দুই বছরের বেশি সাজা হলে আপিল বিচারাধীন থাকা অবস্থায় কোনো ব্যক্তি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না বলে আদেশ দেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ দুর্নীতির অভিযোগে প্রাপ্ত সাজা স্থগিত চেয়ে করা বিএনপির পাঁচ নেতার আবেদন খারিজ করে দিয়ে এ আদেশ দেন।

সংবিধানের ৬৬ (২) (ঘ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী কারো দুই বছরের বেশি সাজা বা দণ্ড হলে সেই দণ্ড বা সাজার বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল বিচারাধীন থাকা অবস্থায় তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না, যতক্ষণ না আপিল বিভাগ ওই রায় বাতিল বা স্থগিত করে তাকে জামিন দেয়।

বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে এবং উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে অতীতে নির্বাচনে অংশ নেয়ার নজির রয়েছে। এ কারণে সাজাপ্রাপ্তরা একইভাবে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারতেন। কিন্তু মঙ্গলবার বিএনপির পাঁচ নেতার আবেদন খারিজের রায়ের সঙ্গে হাইকোর্টের দেয়া পর্যবেক্ষণে সে পথ বন্ধ হয়ে যায়। শুধু তা-ই নয়, এ আদেশের ফলে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নির্বাচনে অংশ নেয়ার পথও আটকে গেল।

আজকের বাজার/এমএইচ