স্বপ্নের পদ্মা সেতুর রেল সংযোগ প্রকল্পের ঋণ চুক্তি সই

স্বপ্নের পদ্মা সেতুর রেল সংযোগ প্রকল্পে চীনের সঙ্গে ঋণ চুক্তিতে সই করলো বাংলাদেশ। স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টায় চীনের বেইজিংয়ে অবস্থিত এক্সিম বাংকের প্রধান কার্যালয়ে এই চুক্তি সই হয়।

চীনের এক্সিম ব্যাংক সেতু প্রকল্পে রেলপথ সংযোগে অর্থায়ন করছে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ জাহিদুল হক এবং চায়না এক্সিম ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট মিস্টার সুন পিং ২ দশমিক ৬৭ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি পত্রে সই করেন।

এ সময় পদ্মা সেতুর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিআরইসি কর্মকর্তাবৃন্দ এবং চীনে বাংলাদেশ দুতাবাসের ইকোনোমিক কাউন্সিলর মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর উপস্থিত ছিলেন। ঋণ চুক্তি উপলক্ষ্যে বাংলাদেশের ৬ সদস্যের প্রতিনিধি দল চীন সফরে আছেন।

এর আগে রেলমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক জানিয়েছিলেন, অনেক প্রতীক্ষার পর এই ঋণ চুক্তি হতে যাচ্ছে। আমাদের সব কার্যক্রম শেষ হয়েছে। চুক্তি হলেই কাজ শুরু হবে।

রেল মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, চায়না এক্সিম ব্যাংকের কাছ থেকে এই প্রকল্পের অর্থ ছাড় তো দূরের কথা, এতদিন চুক্তি পর্যন্ত হয়নি। অথচ পদ্মা সেতুর ৪১ শতাংশ যেখানে কাজ শেষ হয়েছে, সেখানে জমি অধিগ্রহণ ছাড়া সেতুতে রেল সংযোগ প্রকল্পের নির্মাণ কাজই শুরু হয়নি। অন্যদিকে, জমি অধিগ্রহণের কাজ চলছে সরকারের নিজস্ব টাকায়। ফলে পদ্মা বহুমুখী সেতু চালুর দিন থেকে রেল সংযোগ চালু করার বিষয়টি অনেকটাই অনিশ্চিত থেকে গেছে।

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে আন্তঃদেশীয় রেলযোগাযোগ উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকারের ৮ মেগা প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প। পদ্মা সেতু প্রকল্পে রেল সংযোগ চালু হলে মুন্সিগঞ্জ, শরীয়তপুর, মাদারীপুর ও নড়াইল জেলা নতুন করে রেল লাইন অন্তর্ভুক্ত হবে। এই রুটে কন্টেইনার চলাচলের ক্ষেত্রে কোনও স্পিড ও লোড বিধিনিষেধ না থাকায় জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ফ্রেইড ও ব্রড গেজ কন্টেইনার চালু করা যাবে। রেলের যাত্রীসেবার মান বাড়বে এবং একইসঙ্গে ভবিষ্যতে বরিশাল ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে রেল সংযোগের সঙ্গে যুক্ত করা হবে বলেও জানিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়।

এস/