স্বাধীনতা দিবসে মু্ক্তিযোদ্ধাদের প্রধানমন্ত্রীর উপহার

বরাবরের মতো এবারও মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদেরকে উপহার পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উপহারের তালিকায় ছিল ফল-ফুল এবং মিষ্টি।

সোমবার সকাল থেকে সাড়ম্বরে সারাদেশে পালিত হচ্ছে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৪৭তম বার্ষিকী। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর আক্রমণের পর প্রথম প্রহরে ইপিআর (বর্তমানে বিজিবি) এর ওয়্যারলেসে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। শুরু হয় মুক্তির লড়াই।

বাঙালিদের নিজস্ব রাষ্ট্র পাওয়ার এই দিনটিতে সকাল থেকেই রাষ্ট্রীয় আনুষ্ঠানিকতায় ব্যস্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্যেই তিনি স্বাধীনতার সংগ্রামীদের জন্য উপহারসহ পাঠান তার কর্মকর্তাদের।

রাজধানীর মোহাম্মদপুর কলেজ গেইটে অবস্থিত শহীদ ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা পুনর্বাসন কেন্দ্রে (মুক্তিযোদ্ধা টাওয়ার-১) প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব সাইফুজ্জামান শিখর, উপ প্রেস-সচিব আশরাফুল আলম খোকন, প্রটোকল অফিসার খুরশিদ আলম এবং  অ্যাসাইনমেন্ট অফিসার গাজী হাফিজুর রহমান উপহার নিয়ে যান।

মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দেয়া আওয়ামী লীগ বরাবরই স্বাধীনতা ও বিজয় দিবসের মত দিনগুলো পালন করে আড়ম্বরের সঙ্গে। মুক্তিযোদ্ধাদেরকেও এই দিনগুলোতে শুভেচ্ছা জানান শেখ হাসিনা।

আশরাফুল আলম খোকন জানান, উপহার পেয়ে মুক্তিযোদ্ধারা প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানা। সেই সঙ্গে তাদের পুনর্বাসনে নানা পদক্ষেপ নেয়ায় বঙ্গবন্ধু কন্যার প্রতি কৃতজ্ঞতাও জানিয়েছেন।

যুক্তিযোদ্ধারা বলেন , আওয়ামীলীগ এবং শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলেই কেবল মুক্তিযোদ্ধা দেশে যথাযথ সম্মান পায়।

উল্লেখ্য মোহাম্মদপুরের কলেজ গেটে ১৩ তলা বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা টাওয়ার-১ এ যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের ৮০টি পরিবারের জন্য দোকান ও আবাসিক ফ্ল্যাট রয়েছে।

এমআর/