১০ ইউকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৬১

এশিয়া কাপের উদ্বোধনী ম্যাচে ১০ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৬১ রান। টসে জিতে বাংলাদেশ প্রথমে ব্যাটিং নিয়ে শুরুতেই ধাক্কা খায়। ৩৭৯ দিনের পরে লাসিফ মালিঙ্গা আর্ন্তজাতিক ম্যাচে ফিরেই নিজের প্রথম ওভারে লিটন কুমার দাস ও সাকিব আল হাসানের গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নিয়ে জানান দেন ‘ আই এ্যাম ব্যাক’।

নিজের নামের পাশে কোন রান না করেই সাজ ঘরে ফেরে লিটন এবং সাকিব। শুরু ধাক্কায় বাংলাদেশ শিবিরে আবার পেরেক ঠুকে দেয় ১ ওভার ৫ বলে তামিম হাতে আঘাত পেয়ে সেচ্ছায় বিশ্রামে চলে যান তামিম ইকবাল। শুরুতেই এলোমেলো বাংলাদেশকে সামলাতে সাত নম্বর স্থান থেকে মিঠুন আলীকে প্রমোশন দিয়ে তুলে আনা হয় উপরের দিকে।

মুশফিক রহিম ও মিঠুন আলী দেখে শুনে শান্তভাবে স্কোর সচল রাখে। প্রথম ১০ ওভারে স্কোর বোর্ডে জমা পড়ে মাত্র ২৫ রান। প্রথম বাউন্ডারি আসে রহিমের ব্যাটে আর প্রথম ছক্কা আসে মিঠুনের ব্যাটে। মূলত এই শর্টের পরেই নিজেদের খোলস ছেড়ে আসে বাংলাদেশ। দলীয় ১৩ তম ওভারে বাংলাশের দলীয় ৫০ রান পূরণ করে। সেখান থেকে দলীয় শতরানের জুটি গড়ে শক্ত হাতে ভক্তরে উপহার দেন জোড়া অর্ধশত রানের জুটি।

মোহাম্মদ মিঠুন তুলে নেন নিজের প্রথম অর্ধশত রান। ৫২ বলে ৪ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় তিনি সাজান নিজের অর্ধশত। মুশফিক রহিম ও নিজের অর্ধশত তুলে নিতে ৬৭ বল খেলেন। ২২ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর দাঁড়ায় ১১৭ রান। এই জুটি যখন শ্রীলঙ্কার মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাড়াচ্ছিল তখণ আবার বল হাতে আক্রমনে আসে মালিঙ্কা।

নিজের পঞ্চম ওভারে নিজের তৃতীয় উইকেট হিসেবে মোঃ মিঠুন আলীকে তুলে নেন। এই উইকেট পতনে ১৩২ রানের জুটি ভাঙ্গে। মিঠুন আলী ৬৩ রান করে সাজ ঘরে ফেরেন। রহিমের সাথে জুটি বাধতে মাঠে নামেন রিয়া কিন্তু নিজের নামের সাথে ১ রান যোগ করেই আপনসের শিকার হয়ে সাজ ঘরে ফিরে যান তিনি। লীয় স্কোর তখন ৪ উইকেটে ১৩৪ রান। ভক্তরে মনে আবার উকি দেয় আসঙ্কা। সেই আসঙ্কা সত্যি হয়ে মোছাদ্দেক হোসেন সৈকত আউট। লাসিফ মালিঙ্কা বাংলাদেশ ব্যাটসম্যানদের জন্য আতঙ্ক হিসেবে হাজির করেন। সৈকতকে আউট করে তুলে নেন নিজের চতুর্থ উইকেট।

আজকের বাজার/এমএইচ