সিঙ্গাপুরের কাছে শুল্কমুক্ত রপ্তানি সুবিধা চায় বাংলাদেশ

আজকের বাজার প্রতিবেদন: সিঙ্গাপুরে রপ্তানিযোগ্য সকল পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা চায় বাংলাদেশ। দেশটির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধিতে এই শুল্কমুক্ত সুবিধা বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।
সোমবার সচিবালয়ে সিঙ্গাপুরের হাইকমিশনার (অনিবাসী) চ্যান হেঙ্গ উইঙ্গের সঙ্গে এক বৈঠকে তার দেশে পণ্য রপ্তাানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা চান বাণিজ্যমন্ত্রী। বৈঠক শেষে তোফায়েল আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, সিঙ্গাপুরের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অনেক ভালো। দেশটির সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক আরও বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে। তবে দেশটিতে বাংলাদেশের যেসব পণ্যের চাহিদা রয়েছে সেগুলো রপ্তাানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা দিলে দুই দেশের সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলে উল্লেখ করেন বাণিজ্যমন্ত্রী। মন্ত্রী জানান,সিঙ্গাপুরের হাইকমিশনারকে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে সেই দেশের ব্যবসায়ীদের উৎসাহীত করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। তোফায়েল আহমেদ বলেন,তাদের দেশে অনেক ব্যবসায়ী আছেন। তারা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে পারেন। হাইকমিশনের মাধ্যমে তাদের জানাতে চাই, তারা মুনাফার শতভাগই নিতে পারবেন।
তিনি বলেন, সিঙ্গাপুরেই প্রথম ১৯৯৬ সালে ডাব্লিউটিও মিনিস্টার কনফারেন্স হয়েছিল। ঐ কনফারেন্সে আমি সমন্বয়ক ও মুখপাত্র ছিলাম। এসময় সিদ্ধান্ত হয়েছিল স্বল্প উন্নতদেশগুলোতে ডিউটি ফি, কোটা ফি সুবিধা দেওয়া হবে। এরপর থেকেই পৃথিবীর বহুদেশে বাংলাদেশ ডিউটি ফি, কোটা ফি সুবিধা পায়। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বৈঠকে হাইকমিশনকে বলেছি- সিঙ্গাপুর হতে আমরা ২.৫ বিলিয়ন আমদানি করি। রপ্তানি করি ৩২৫ মিলিয়ন। যদিও ওখানে ডিউটি কম,তারপর অনুরোধ করেছি-এ ডিউটি ফি টা যেন শূন্য করে দেন।
মন্ত্রী জানান,সিঙ্গাপুরের অনেক ব্যবসায়ীর আমাদের বেপজায় বিনিয়োগ রয়েছে। আমরা বলেছি-আমরা ১০০ অর্থনৈতিক অঞ্চল করতে যাচ্ছি। এর যে কোনো একটি সিঙ্গাপুর নিতে পারে। অথবা বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে তারা আলাদা ভাবে বিনিয়োগ করতে পারে। তিনি বলেন, আমাদের দেশের বিনিয়োগ পলিসি খুবই চমৎকার। আমরা শতভাগ বিনিয়োগ গ্রহণ করি। কেউ কো-শেয়ার ছাড়াই পুরো ইন্ড্রাষ্ট্রি করতে পারে। এ বিনিয়োগ এবং মুনাফা তারা যে কোন সময় ফেরত নিতে পারবেন। এটা আইনের দ্বারা সংরক্ষিত।
আজকের বাজার : সালি / ১৫ নভেম্বর ২০১৭