ইলেকশন ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার করতে পোলিং এজেন্টদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে : সিইসি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ইলেকশন ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার হতে হলে যারা পোলিং এজেন্ট, তাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে। ভোটকেন্দ্রের ভেতরে শৃঙ্খলা রাখতে এবং ‘ম্যালপ্র্যাকটিস’ রোধ করতে হলে পোলিং এজেন্টদের সক্রিয় হতে হবে।

আজ রোববার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে ঢাকায় নিযুক্ত বৃটিশ হাই কমিশনার সারাহ কুক’র সঙ্গে প্রায় দেড় ঘণ্টা বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “সারাহ কুক ‘অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের’ কথা বলেছেন।
তিনি বলেন, ‘সারাহ কুক প্রত্যাশা করেছেন- নির্বাচন যেন অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য হয়। আমি জোর দিয়েছি, ইলেকশন ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার হতে হলে যারা পোলিং এজেন্ট, তাদের ভূমিকাটা গুরুত্বপূর্ণ। পোলিং এজেন্টদের আমরা ওভাবে ‘সেনসেটাইজ’ করব। তাদেরকে সাহসের সাথে সেই ভূমিকাটা পালন করতে হবে। এতে ভোটকেন্দ্রের ভেতরে যে অনিয়ম হতে পারে, সেই আশঙ্কা অনেকটা হ্রাস পাবে।’

সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশন (ইসি) বদ্ধপরিকর উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সারাহ কুক আমাদের সাথে মতবিনিময় করেছেন। বিভিন্ন বিষয় আলাপচারিতার মধ্যে নির্বাচন প্রসঙ্গ উঠে এসেছে। উনি জানতে চেয়েছিলেন, আমাদের প্রস্তুতি কেমন। উনি নির্বাচন সম্পর্কে আশাবাদী যে, সুন্দর ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে।’
সিইসি বলেন, ‘উনি বলেছেন, নির্বাচনটা যেন অংশগ্রহণ ও বিশ্বাসযোগ্য হয়। এ বিষয়ে আমরা আমাদের তরফ থেকে জানিয়েছি যে, আমরা কী কী ভূমিকা পালন করব।’

আলোচনায় নির্বাচনে গণমাধ্যমের প্রসঙ্গও উঠে এসেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘অবজার্ভারের বিষয়টাও আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়ে আমরা তাকে জানিয়েছি, আমরা ট্রান্সপারেন্সির উপর খুব জোর দিয়ে থাকি। এজন্য অবজার্ভার এবং গণমাধ্যমের কাছ থেকে খুব বস্তুনিষ্ঠ সহায়তা কামনা করবো। কারণ নির্বাচনের যে একটা দর্পণ, তা কিন্তু প্রতিফলিত হবে গণমাধ্যমকর্মীদের মাধ্যমে।’

সারাহ কুক আলোচনায় গণমাধ্যমের জন্য ইসির নীতিমালা প্রসঙ্গ তুলেছেন উল্লেখ করে হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘গণমাধ্যমের জন্য গাইডলাইন অনুযায়ী পারমিশন নিয়ে যেতে হবে। আমরা এক্সপ্লেইন করেছি, সেখানে ‘পারমিশন’ বলে কোনো শব্দ ছিল না। শেষ পর্যন্ত গণমাধ্যম থেকে যে দাবিটা আমাদের কাছে আসছে, সেটা হল- মোটরসাইকেল ব্যবহারের বিষয়ে। আমরা বলেছি, একটা কারণে এটা বাদ দিয়েছিলাম; মোটরসাইকেলের অপব্যবহার হবে কি না, যারা মাসলম্যান, তারা এই মোটরসাইকেল ব্যবহারের সুযোগ নিয়ে কোনো ধরনের সংকট সৃষ্টি করবে কি না।’

সিইসি বলেন, ‘গণমাধ্যমের যে দাবি, সেটাও যৌক্তিক। মোটরসাইকেল ছাড়া নির্বাচনি কর্মকান্ড কভার করা তাদের জন্য কষ্টসাধ্য হতে পারে। সেজন্য আমরা বলেছি, এটা আন্ডার রিভিউ রেখেছি। আমরা সেটা পরিবর্তন করব।’
সিইসির সঙ্গে ‘গঠনমূলক আলোচনা’ হয়েছে উল্লেখ করে সারাহ কুক সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা স্বাধীন, শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান, গণমাধ্যম, সুশীল সমাজ এবং নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষকের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেছি। প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং তার দলের সঙ্গে আমার এটি প্রথম সৌজন্য সাক্ষাৎ। আলোচনা গঠনমূলক হয়েছে।’
ব্রিটিশ হাই কমিশনারের সঙ্গে বৈঠকে সিইসির সঙ্গে নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান, ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম উপস্থিত ছিলেন। (বাসস)