নতুন শতাব্দীতে স্মিথের রানই সর্বোচ্চ

চোটর জন্য দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে মাঠে নামতে পারেননি৷ তৃতীয় টেস্ট দেখতে হয়েছে মাঠের বাইরে বসে৷ অ্যাশেজের পাঁচ ম্যাচের সিরিজে তিনটি ইনিংস হাতছাড়া করেছেন স্টিভ স্মিথ৷ যদি চোট না-পেতেন, তবে স্মিথ স্যার ডন ব্র্যাডম্যানের ৮৯ বছর আগের রেকর্ড অনায়াসে ভেঙে দিতে পারতেন বলেই বিশ্বাস আন্তর্জাতিক ক্রিকেট মহলের৷ ওভালে সিরিজের শেষ টেস্টের শেষ ইনিংসে মাত্র ২৩ রানে স্মিথ আউট হতে নিশ্চিত হয়ে যায় যে আপাতত অক্ষুন্ন থাকছে প্রায় ন’দশক আগে গড়া ব্র্যাডম্যানের নজির৷

স্মিথ অবশ্য এবারের অ্যাশেজে একাধিক রেকর্ড গড়েন৷ চার ম্যাচের তাঁর সব থেকে কম রানের ইনিংস ওভালের ২৩৷ তার আগের ছ’টি ইনিংসে স্মিথের ব্যক্তিগত সংগ্রহ যথাক্রমে ১৪৪, ১৪২, ৯২, ২১১, ৮২ ও ৮০৷ অর্থাৎ সিরিজে ১১০.৫৭ গড়ে ৭৭৪ রান সংগ্রহ করেছেন স্মিথ৷ দীর্ঘ ১৬ মাস পর টেস্ট ক্রিকেটে ফিরে এমন চমকপ্রদ পারফরম্যান্সের পথে যে সব নজির গড়েন তিনি, তা একনজরে দেখে নেওয়া যাক৷

১৯৯৪ সালের পর থেকে একটি টেস্ট সিরিজে সব থেকে বেশি ব্যক্তিগত রান সংগ্রহ করেন স্মিথ৷ ২৫ বছর আগে ব্রায়ান লারা একটি টেস্ট সিরজে ৭৭৮ রান সংগ্রহ করেছিলেন৷ মাত্র ৪ রানের জন্য লারাকে ছোঁয়া হয়নি তাঁর৷ তবে নতুন শতাব্দীতে স্মিথের ৭৭৪ রানই একটি সিরিজে সর্বোচ্চ৷ ২০০০ সালের পর থেকে এ-পর্যন্ত আগের রেকর্ডটিও ছিল স্মিথের দখলে৷ ২০১৪-১৫ সালে ভারতের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে ৭৬৯ রান করেছিলেন তিনি৷

একাধিকবার একটি টেস্ট সিরিজে ৭০০’র বেশি রান সংগ্রহ করা ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হলেন স্মিথ৷ তাঁর আগে এমন কৃতিত্ব দেখিয়েছেন স্যার ডন ব্র্যাডম্যান, সুনীল গাভাসকর, ব্রায়ান লারা, এভার্টন উইকস ও গ্যারি সোবার্স৷

অ্যাশেজের ইতিহাসে একটি সিরিজে সব থেকে বেশি রানে করার নিরিখে স্মিথ পাঁচ নম্বরে উঠে এলেন৷ একটি অ্যাশেজ সিরিজে স্মিথের থেকে বেশি রানের নজির রয়েছে ব্র্যাডম্যান (১৯৩০ সালে ৯৭৪ রান এবং ১৯৩৬-৩৭ সালে ৮১০ রান), ওয়ালি হ্যামন্ড (১৯২৮-২৯ সালে ৯০৫ রান) ও মার্ক টেলরের (১৯৮৯ সালে ৮৩৯)৷

আজকের বজার/লুৎফর রহমান