পাটে রপ্তানি আয় বেড়েছে

আজকের বাজার প্রতিবেদন
২০১৭-১৮ অর্থবছরের জুলাই-আগস্ট মেয়াদে কাঁচা পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানিতে বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয়েছে ১৫ কোটি ৫৩ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার বা প্রায় ১ হাজার ২৭৯ কোটি টাকা। যা এ সময়ের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ১০ দশমিক ০৯ শতাংশ কম। তবে গত ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রথম ২ মাসের তুলনায় এ খাতের পণ্য রপ্তানি আয় ১০ দশমিক ৩৪ শতাংশ বেড়েছে।
বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর,ইপিবি সেপ্টেম্বর মাসে প্রকাশিত প্রতিবেদন বিশ্লেষণ থেকে জানা গেছে এ তথ্য। এতে দেখানো হয়েছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ২ মাসে কাঁচা পাট রপ্তানিতে আয় হয়েছে ১ কোটি ৮৫ লাখ মার্কিন ডলার; পাটের সুতা ও কু-লী রপ্তানিতে আয় হয়েছে ১০ কোটি ৬০ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার এবং পাটের বস্তা ও ব্যাগ রপ্তানিতে আয় হয়েছে ১ কোটি ৫০ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার।
প্রতিবেদন থেকে আরও জানা গেছে, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে পাট ও পাটজাত দ্রব্য রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ৯৬ কোটি ২৪ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার। চলতি অর্থবছরে এই খাতের রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১০৫ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার।
২০১৬-১৭ অর্থবছরে কাঁচা পাট রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ১৬ কোটি ৭৮ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার; পাটের সুতা ও কু-লী রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ৬০ কোটি ৭৮ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার এবং পাটের বস্তা ও ব্যাগ রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ১২ কোটি ৭৫ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার।
চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরে কাঁচা পাট রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৭ কোটি ৭৫ লাখ মার্কিন ডলার; পাটের সুতা ও কু-লী রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৮ কোটি মার্কিন ডলার এবং পাটের বস্তা ও ব্যাগ রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪ কোটি মার্কিন ডলার।

২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রথম ২ মাসে পাট ও পাটজাত পণ্যের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১৭ কোটি ২৭ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার। এর বিপরীতে আয় হয়েছে ১৫ কোটি ৫৩ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১০ দশমিক ০৯ শতাংশ কম। একইসঙ্গে সদ্য সমাপ্ত ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রথম ২ মাসের তুলনায় এ খাতের রপ্তানি আয় ১০ দশমিক ৩৪ শতাংশ বেড়েছে। গত অর্থবছরের এ সময়ে পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ১৪ কোটি ৭ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার।
ইপিবির হালনাগাদ প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, চলতি অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর মেয়াদে কাঁচা পাট রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ২ কোটি ৮৬ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। এ সময়ে কাঁচা পাট রপ্তানিতে আয় হয়েছে ১ কোটি ৮৫ লাখ ২০ হাজার ডলার; যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩৫ দশমিক ৪৪ শতাংশ কম। একইসঙ্গে আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় এ খাতের আয় ৪৯ দশমিক ৯৬ শতাংশ কম। গত ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রথম ২ মাসে কাঁচা পাট রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ৩ কোটি ৬৯ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার।
২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রথম ২ মাসে পাটের সুতা ও কু-লী রপ্তানিতে ১১ কোটি ১৩ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও এ সময়ে আয় হয়েছে ১০ কোটি ৬০ লাখ ৯০ হাজার। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪ দশমিক ৭১ শতাংশ বেশি। তবে গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় এ খাতে বৈদেশিক মুদ্রার আয় ৩৬ দশমিক ০১ শতাংশ বেড়েছে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর মেয়াদে পাটের সুতা ও কু-লী রপ্তানিতে ৭ কোটি ৮০ লাখ মার্কিন ডলার আয় হয়েছিল।


চলতি বছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর মেয়াদে পাটের বস্তা ও ব্যাগ রপ্তানিতে আয় হয়েছে ১ কোটি ৫০ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার; যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩৪ দশমিক ৩০ শতাংশ কম। একইসঙ্গে গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় এই খাতের আয় ১৩ দশমিক ৩০ শতাংশ কম। ২০১৬-১৭ অর্থবছরের একই সময়ে পাটের বস্তা ও ব্যাগ রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ১ কোটি ৭৩ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার।
ইপিবির প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ২ মাসে পাটের অন্যান্য দ্রব্য রপ্তানিতে ১ কোটি ৫৬ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার আয় হয়েছে; যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫৯ দশমিক ৪১ শতাংশ কম। গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় এই খাতের রপ্তানি আয় ৮৬ দশমিক ২১ শতাংশ কমেছে।