‘অপরাধী’র ভিউ ১০ কোটি হলেও শিল্পীর আয় ৫০ হাজার

গেল তিন মাস ধরে বাংলাদেশের সংগীত জগতের সবচেয়ে আলোচিত গানের নাম ‘অপরাধী’। ঈগল মিউজিকের ব্যানারে প্রকাশিত অংকুর মাহমুদ ফিচারিং আরমান আলিফের এই গান-ভিডিওটি বাংলাদেশে ইউটিউব ইতিহাসের সব রেকর্ড ভেঙে ফেলেছে।

গানটি ইউটিউবে অর্জন করেছে ১০ কোটি দর্শকের মাইলফলক। গত ২৬ এপ্রিল ঈগল মিউজিক প্রকাশ করেছে আরমান আলিফের ‘অপরাধী’ গানটি। এরপর থেকে যতই দিন যাচ্ছে ততই ভিউ বাড়ছে।

এমন জনপ্রিয়তা পাওয়া গানটি নিয়ে বেশ কিছু প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে শ্রোতাদের মাথায়। ভাবনার বিষয় হলো, গানটি অনেক বেশি জনপ্রিয়তা পেলেও তেমন পরিচিতি পাননি গানটির শিল্পী আরমান আলী। তাকে নিয়ে আলোচনাও কম। তার গান কাভার করে অন্যরা এসেছে আলোচনায়।

আলোচনা হচ্ছে, ইউটিউব থেকে গানটি প্রায় অর্ধ কোটি টাকার ব্যবসা হতে পারে। কিন্তু গানটির শিল্পী কতো পেলেন। কতো ছিল তার পারিশ্রমিক আরমান আলিফের।

‘অপরাধী’ গানের শিল্পী বলেন, ভালো লাগাটা আসলে ভাষায় প্রকাশ করার মতো না। এটা এমন রেকর্ড, ভালো লাগারই কথা। শ্রোতারা আমার গান এরই মধ্যে ১০ কোটিবারের বেশি শুনেছেন, দেখেছেন। এটা একেবারেই ধারণার বাইরে। কীভাবে যেন হয়ে গেল! তবে এটা আমার পরের কাজের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছে, দায়িত্বও বেড়েছে। একই সঙ্গে মানসিক চাপও অনুভব করছি।

তিনি বলেন, গানটি ঈগল মিউজিকের ব্যানার থেকে প্রকাশ হয়েছে। তারা যেটা ভালো মনে করেছে সেটা করেছে। আর মিডিয়াও আমার কাছে নতুন। খুব বেশি কাউকে চিনি না। আমি এ কয়দিনে যত জায়গা থেকে ডাক পেয়েছি, যাওয়ার চেষ্টা করেছি। অনেকে শুধু অডিও গান শুনেছেন এমনটাও হয়েছে। আমাকে নিয়ে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের প্রচারণা কম ছিল। কারণ, গানটি এভাবে সফল হবে হয়তো কেউ ভাবেননি। আমি এসব নিয়ে ভাবছি না। কারণ, আমার গাওয়া গান। সেটা কেউ বললেও আমার, না বললেও শ্রোতা-দর্শক আমারই জানবেন।

আরমান আলিফ আরও বলেন, গানটি ভালোবেসে নিজে থেকেই অনেকে গেয়েছেন। এই গানটি শুধু আমাকেই না আরও অনেককে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে। এটাও আমার বড় একটা পাওয়া। এখানে কোনো প্রতিযোগিতা নেই। কে আমাকে আলোচনায় ছাড়িয়ে গেল তাতে আমার কিছুই যায় আসে না। আমি আগামীতে নিজের নামের প্রতি সুবিচার করে গান করে যেতে চাই।

যদিও এটা পার্সোনাল ইস্যু, তবুও বলছি, আয় অনুযায়ী তেমন কোনো লাভ আসলে আর্থিকভাবে আমার হয়নি। শুনছি গানটি দশ কোটি ভিউ হওয়ায় অর্ধ কোটি টাকার কাছাকাছি আয় হবে প্রতিষ্ঠানের। কিন্তু আমি দুই কিস্তিতি ৫০ হাজার টাকা পেয়েছি। গানটি ঈগল মিউজিকে জমা দেয়ার সময় কোনো টাকার কথা উল্লেখ ছিল না। একজন নতুন হিসেবে আমি তাদের কাছে গিয়েছিলাম। তারা গানটি প্রকাশ করবেন বলে রাজি হয়েছিলেন। গানের চুক্তির সময় আমাকে বলা হয়েছিল আমার যখন টাকার প্রয়োজন হবে তখন চাইলে সেটা আমাকে দেওয়ার চেষ্টা করবেন তারা। তাদের আশ্বাসে একরকম ভালোবেসেই গানটি দিয়েছি এখানে। পরে দুই কিস্তিতে ৫০ হাজার টাকা আমি পেয়েছি। আর কোনো টাকা পাইনি।

আজকের বাজার/আরআইএস