ইমরান খানের মন্তব্য মধ্যযুগীয়: ভারত

পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান জাতিসংঘের সাধারণ সভায় যে বক্তৃতা রেখেছেন, তাতে ‘সাম্প্রদায়িক হিংসা’, ‘পরমাণু অস্ত্র’, ‘রক্তগঙ্গা’, ‘অস্ত্র তুলে নেওয়ার হুমকি’ এই সব শব্দবন্ধ উল্লেখ করেন। ইমরানের বক্তৃতার পর ভারতের বিদেশমন্ত্রকের সচিব বিদিশা মৈত্রের কটাক্ষ, কূটনৈতিক বিষয়ে এ ধরনের মন্তব্য প্রত্যাশিত নয়। একবিংশ শতাব্দীতে যেন মধ্যযুগীয় বক্তৃতা শোনা গেল ইমরানের কাছ থেকে।

কাশ্মীর প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে জাতিসংঘের মতো মঞ্চেও বারংবার উস্কানিমূলক মন্তব্য করতে দেখা যায় পাক প্রধানমন্ত্রীকে। পরমাণু অস্ত্রের হুমকি দিয়ে ইমরান বলেন, যদি দুই দেশ চিরাচরিত যুদ্ধে যায়, তা হলে ক্ষতি হবে বিশ্বেরই। প্রতিবেশী দেশের থেক ৭ গুন ছোটো দেশ পাকিস্তান। ভারতের সঙ্গে লড়তে গেলে তারা জান লড়িয়ে দেবে বলে হুঁশিয়ারি দেন ইমরান খান। মৃত্যুর আগে পর্যন্ত স্বাধীনতার জন্য লড়াই চালিয়ে যাবে পাকিস্তান। কিন্তু কিসের স্বাধীনতা? তা স্পষ্ট নয় ইমরান খানের কথায়।

কাশ্মীর ভারতে অভ্যন্তরীণ বিষয়। সংবিধান মেনেই বাতিল করা হয়েছে ৩৭০ অনুচ্ছেদ। উলটে পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে ভারতের অন্তর্ভুক্তি করতে ইতিমধ্যে আলোচনা শুরু করে দিয়েছে ভারত। বিদেশ সচিব বিদিশা মৈত্র জানান, প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের পরমাণু হুমকি রাষ্ট্রনায়কোচিত নয়, স্বৈরচারীসুলভ মন্তব্য।

আজকের বাজার/লুৎফর রহমান