সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ডে সন্দেহভাজন অভিযুক্তদের ভিসা বাতিলের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের পক্ষ থেকে শাস্তির প্রথম পদক্ষেপের কথা জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
খাশোগি হত্যাকাণ্ডকে ‘কলকঙ্কজনক এবং খারাপ নজির’ উল্লেখ করে মঙ্গলবার হোয়াইট হাউজে ট্রাম্প সাংবাদিকদের এ পদক্ষেপের কথা জানান।
‘তারা (সৌদি) খুব খারাপ নজির সৃষ্টি করেছে’ উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেন, ‘এটা খুবই খারাপভাবে হয়েছে এবং ঘটনাটিকে যেভাবে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে; ইতিহাসে যতগুলো খারাপ ঘটনাগুলো ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা হয়েছে তাদের মধ্যে সবচেয়ে দুর্বলতম। কেউ অবশ্যই কোনো কিছু ভুল করেছে ঘটনাটিকে ধামাচাপা দিতে।’
এদিকে সাংবাদিক জামাল খাশোগির নগ্ন হত্যাকাণ্ডের চিত্র উন্মোচিত হলেও সৌদি আরবের সাথে অস্ত্র বিক্রি বন্ধের ঘোষণা দেয়া হয়নি এমনকি সৌদি শাসকদের প্রতিহতের কথাও বলেনি যুক্তরাষ্ট্র। কারণ, মধ্যপ্রাচ্যে ট্রাম্প প্রশাসনের এজেন্ডা বাস্তবায়নে সৌদি আরব তার গুরুত্বপূর্ণ মিত্র।
তবে কংগ্রেস সদস্যরা যুক্তরাষ্ট্রে স্বেচ্ছা নির্বাসনে থাকা খাশোগি হত্যাকাণ্ডের জন্য সৌদি আরবের ওপর বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা দেয়ার দাবি জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, নিহত খাশোগি ওয়াশিংটন পোস্টসহ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সংবাদপত্রে সৌদির ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের বিরুদ্ধে লেখালেখি করতেন।
গত ২ অক্টোবর বিয়ের কাগজপত্র নিতে ইস্তাম্বুলের সৌদি কনসুলেটে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছিলেন বছরখানেক ধরে যুক্তরাষ্ট্রের বাস করা খাশোগি।
সৌদি কনসুলেটের ভেতরই খাশোগিকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ আসলেও শুরুতে তা অস্বীকার করেছিল রিয়াদ। পরবর্তীতে আন্তর্জাতিক চাপে দুই সপ্তাহ পর সৌদি আরব এ ঘটনা স্বীকার করল।
তথ্যসূত্র-ইউএনবি
আজকের বাজার/এমএইচ