রোহিঙ্গাদের সহায়তায় ১০০ মিলিয়ন ডলার অনুদান দিল এডিবি

বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমারের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের সহায়তায় ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুদান দিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। খবর ইউএনবি।

বৃহস্পতিবার (৯ আগস্ট) ঢাকায় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এডিবি এবং বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে এ বিষয়ক একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব কাজী শফিকুল আজম এবং এডিবির পক্ষে এর কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন পার্কাশ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

বাংলাদেশের মৌলিক অবকাঠামো নির্মাণ ও রোহিঙ্গাদের সহায়তায় মোট ২০০ মিলিয়ন ডলারের অনুদানের মধ্যে প্রথম পর্যায়ে ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দিল এডিবি।

মনমোহন পার্কাশ বলেন, চলতি বছরে মে মাসে রোহিঙ্গাদের অনুদান সহায়তার জন্য বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধে দুই মাস পর সহায়তা প্রকল্পটি দ্রুতগতিতে প্রস্তুত, প্রক্রিয়া এবং অনুমোদন করেছে এডিবি।

তিনি বলেন, আমরা খুব খুশি যে এডিবির সদস্য দেশগুলো দ্রুত অনুদান তহবিলের অনুমোদন করেছে। আমরা ইতিমধ্যে উপ-প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন শুরু করেছি।

এডিবির ১০০ মিলিয়ন ডলারের অনুদান প্রকল্প কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলায় বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ, পানি সরবরাহ, স্যানিটেশন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ঝুঁকি হ্রাস, সড়ক নির্মাণ প্রভৃতি কাজে সহায়তা দেবে।

প্রকল্পটি প্রয়োজনীয় খাদ্য বিতরণ এবং সংরক্ষণ কেন্দ্র, হাসপাতাল, শিক্ষা সুবিধা এবং জরুরি কাজের জন্য আশ্রয়কেন্দ্রগুলোর মধ্যে সড়ক পুনর্নির্মাণ করবে। এছাড়া কক্সবাজার থেকে টেকনাফ ও অন্যান্য এলাকায় যেতে সড়ক পুনর্নির্মাণ করবে।

পানির প্রয়োজন মেটাতে প্রকল্পটি মোবাইল পানি ক্যারিয়ার সরবরাহ, কমিউনিটি গোসল সুবিধা, ছোট পাইপের মাধ্যমে পানি সরবরাহ ব্যবস্থা নির্মাণ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সুবিধাসহ বিভিন্ন ব্যবস্থা করবে।

ম্যানিলা ভিত্তিক আন্তর্জাতিক ডেভেলপমেন্ট ফিন্যান্স ইন্সটিটিউটের বিবৃতি অনুসারে, সৌর চালিত এবং মিনি গ্রিড-সংযুক্ত সড়ক আলো সরবরাহ করা হবে। বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র, বিতরণী তার এবং ট্রান্সফর্মার এলাকাটিতে আরো ভালোভাবে প্রদান করা হবে।

বাংলাদেশের দক্ষিণপূর্ব এলাকাটি ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, ভূমিধস, বজ্রপাত, অগ্নিকাণ্ডসহ বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য অত্যন্ত সংবেদনশীল। এই সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রকল্পটি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রে জরুরি প্রবেশাধিকার পথ, ভূমিধস প্রতিরোধে সুরক্ষার দেয়াল নির্মাণ এবং একটি ঝড় পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা নির্মাণ করবে।

প্রকল্পটি জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা, বিশ্বব্যাংক ও অন্যান্য দাতা সংস্থাগুলোর সাথে সমন্বয় সাধন করে উন্নয়ন ও বাস্তবায়ন করা হবে।

আড়াই বছরে প্রকল্পটির প্রথম পর্বে ১২০ মিলিয়ন ডলার ব্যয় হবে। এর মধ্যে ১০০ মিলিয়ন এডিবি দেবে, বাকিটা দেবে বাংলাদেশ সরকার।

আজকের বাজার/এমএইচ