রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মিয়ানমার মানবাধিকার কমিশনের গুরুত্বারোপ

FILE - In this Monday, Oct. 2, 2017, file photo, newly arrived Rohingya Muslims from Myanmar prepare to leave a transit shelter in Shahparirdwip, Bangladesh. A team of independent investigators examining alleged violence and killings in Myanmar that caused hundreds of thousands of Rohingya Muslims to flee their homes have issued a searing critique of the United Nations' own operations in the country just as bloodshed erupted in August 2017. (AP Photo/Gemunu Amarasinghe, File)

বাংলাদেশে পালিয়ে আসা বাস্তুচ্যুত সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের জন্য মিয়ানমার ও বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে মিয়ানমার মানবাধিকার কমিশন।

কমিশন প্রধান ইউ উইন মরা মিয়ানমার টাইমসকে বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে একে অন্যেকে দোষারোপ করার চেয়ে সমঝোতা স্মারক অনুসারে বাংলাদেশের উচিত দ্রুত প্রত্যাবাসন বাস্তবায়ন করা।’

তিনি আরও বলেন, ‘সব থেকে ভালো হয়, আমি আহ্বান জানাই উভয় দেশ সমঝোতা অনুসারে দ্রুত বাস্তবায়ন (প্রত্যাবাসন) শুরু করুক।’

পইউ উইন মরা বলেন, বিশ্বের সবচেয়ে বেশি শরণার্থীদের প্রত্যাবাসনের বিলম্বের কারণে সম্প্রতি মিয়ানমার ও বাংলাদেশ একে অপরকে অভিযুক্ত করেছে।

তিনি বলেন, ‘কে সমঝোতা স্মরক বাস্তবায়ন করছে না, কার জন্য বিলম্বিত হচ্ছে-এসব বলার চেয়ে উভয় দেশের দ্রুত সমঝোতা স্মারক বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নিতে হবে। তাহলেই প্রত্যাবাসন শুরু হয়ে যাবে।’

মিয়ানমার সরকার রাখাইনের ইমিগ্রেশন বিভাগ ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে দুটি অস্থায়ী যাচাই ক্যাম্প এবং একটি প্রত্যর্পণ শিবিরের উদ্বোধন করেছে বলেও মিয়ানমার মানবাধিকার কমিশন উল্লেখ করে।

রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধনের জন্য জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনানের নেতৃত্বে যে কমিশন গঠন করা হয়েছিল, ইউ ইউন মিরা সেই কমিশনের সদস্য।

এছাড়াও থাইল্যান্ডের ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী সুরাকিরাত সাথিরাথাই-এর নেতৃত্বাধীন উপদেষ্টা কমিটির সদস্যও ছিলেন তিনি।

ইউ ইউন মরা বলেন, জাতিসংঘ ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের রিপোর্ট গ্রহণ করেনি মিয়ানমার সরকার। কারণ এটা ছিল এক পাক্ষিক। তথ্যসূত্র-ইউএনবি।

আজকের বাজার/এমএইচ