‘তদন্তাধীন ১৫ কোম্পানির সক্ষমতা কার কি’

জিবাজারে তালিকাভুক্ত ১৫ কোম্পানির আর্থিক পারফরমেন্স খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ডিএসই। এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ দিতে ব্যর্থ হওয়ার বিষয়টিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে ডিএসই। তবে আদৌ কি এসব কোম্পানির লভ্যাংশ দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে। নাকি বছরের পর বছর শুধু আশাহত করেছে বিনিয়োগকারীদের।

দেখবো তাদের সর্বশেষ প্রকাশিত ৩ ও ৯ মাসের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন। পাশাপাশি বর্তমানে কোম্পানির রিজার্ভ।

শ্যামপুর সুগার:

শ্যামপুর সুগার মিলস তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি’১৮-মার্চ’১৮) শেয়ার প্রতি লোকসান হয় ১৪ টাকা ৯৯ পয়সা। গত হিসাব বছরের যা একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ৮ টাকা ৬৩ পয়সা।

আর নয় মাসে (জুলাই’১৭-মার্চ’১৮) কোম্পানির শেয়ার প্রতি লোকসান হয় ৫৫ টাকা ৮৪ পয়সা। গত হিসাব বছরের যা একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ৪৩ টাকা ৬২ পয়সা।

রিজার্ভ লোকসান রয়েছে ৩৩৪ কোটি ৫১ লাখ টাকা।

জিলবাংলা সুগার:

জিলবাংলা সুগার তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ’১৮) শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৬ টাকা ৫৩ পয়সা। গত হিসাব বছরের যা একই সময়ে লোকসান ছিল ২ টাকা ৯৬ পয়সা।

আর নয় মাসে (জুলাই’১৭-মার্চ’১৮) কোম্পানির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৩৬ টাকা ২৫ পয়সা। গত হিসাব বছরের যা একই সময়ে লোকসান ছিল ২৬ টাকা ৯৪ পয়সা।

রিজার্ভ লোকসান রয়েছে ২৫৬ কোটি ৮২ লাখ টাকা।

ইমাম বাটন:

ইমাম বাটনের তৃতীয় প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি লোকসান হয় ৩৩ পয়সা। গত হিসাব বছরের একই সময়ে লোকসান ছিল ১৫ পয়সা।

আর ৯ মাসে (জুলাই’১৭-মার্চ’১৮) কোম্পানির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৮৫ পয়সা। গত হিসাব বছরের একই সময়ে লোকাসন ছিল ৭০ পয়সা।

রিজার্ভ লোকসান রয়েছে ২ কোটি ৯১ লাখ টাকা।

বেক্সিমকো সিন্থেটিকস:

বেক্সিমকো সিন্থেটিকসের তৃতীয় প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ১ টাকা ৩৬ পয়সা। এর আগের বছর একই সময়ে লোকসান ছিল ৪০ পয়সা।

আর গত ৯ মাসে (জুলাই, ১৭-মার্চ,১৮) লোকসান হয়েছে ২ টাকা ৪৬ পয়সা। এর আগের বছর একই সময়ে লোকসান ছিল ১ টাকা ৩৯ পয়সা।

রিজার্ভ রয়েছে ৯২ কোটি ৮৯ লাখ টাকা।

শাইনপুকুর সিরামিকস:

শাইনপুকুর সিরামিকস তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-জুন,১৮) ইপিএস হয় ১০ পয়সা। আগের বছর একই সময় কোম্পানিটির ইপিএস ছিল ১১ পয়সা।

গত ৯ মাসে (জুলাই – জুন,১৮) কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি আয় করেছে ২৫ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে কোম্পানিটির লোকসান ছিল ১৮ পয়সা।

রিজার্ভ রয়েছে ২৬৬ কোটি ৭৫ লাখ টাকা।

সোনারগাঁও টেক্সটাইল:

সোনারগাঁও টেক্সটাইল তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’১৮) শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ২৭ পয়সা। গত হিসাব বছরের একই সময়ে লোকসান ছিল ২৪ পয়সা।

আর ৯ মাসে (জুলাই’১৭-মার্চ’১৮) কোম্পানির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ১ টাকা ২ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে লোকসান ছিল ৯১ পয়সা।

রিজার্ভ রয়েছে ৪৪ কোটি ৬৮ লাখ টাকা।

মেঘনা পেট:

মেঘনা পেট ইন্ডাস্ট্রিজ তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ’১৮) শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ১০ পয়সা। এর আগের বছর একই সময়ে লোকসান ছিল ১১ পয়সা।

আর গত ৯ মাসে (জুলাই, ১৭-মার্চ,১৮) লোকসান হয়েছে ৩১ পয়সা। এর আগের বছর একই সময়ে লোকসান ছিল ৩০ পয়সা।

রিজার্ভ লোকসান রয়েছে ১৫ কোটি ৮৪ লাখ টাকা।

মেঘনা কনডেন্সড মিল্ক:

মেঘনা কনডেন্সড মিল্ক তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ’১৮) শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ১ টাকা ৬৩ পয়সা। এর আগের বছর একই সময়ে লোকসান ছিল ১ টাকা ৩৭ পয়সা।

আর গত ৯ মাসে (জুলাই, ১৭-মার্চ,১৮) লোকসান হয়েছে ৬ টাকা ২৫ পয়সা। এর আগের বছর একই সময়ে লোকসান ছিল ২ টাকা ৭৬ পয়সা।

রিজার্ভ লোকসান রয়েছে ৭৩ কোটি ৯০ লাখ টাকা।

সমতা লেদার:

সমতা লেদার তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ’১৮) শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৫ পয়সা। এর আগের বছর একই সময়ে লোকসান ছিল ২ পয়সা।

আর গত ৯ মাসে (জুলাই, ১৭-মার্চ,১৮) লোকসান হয়েছে ৩ পয়সা। এর আগের বছর একই সময়ে লোকসান ছিল ৬ পয়সা।

রিজার্ভ রয়েছে ৪ কোটি ৭৪ লাখ টাকা।

আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক:

আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকের দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল-জুন,১৮) শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ১৮ পয়সা। এর আগের বছর একই সময়ে লোকসান ছিল ১৫ পয়সা।

এদিকে অর্ধবার্ষিকে (জানুয়ারি-জুন,১৮) শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৩১ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে লোকসান ছিল ২৭ পয়সা।

রিজার্ভ লোকসান রয়েছে ১ হাজার ৭০৯ কোটি ৮৬ লাখ টাকা।

ইনফরমেশন সার্ভিসেস:

ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক এর তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ’১৮) শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৭ পয়সা। এর আগের বছর একই সময়ে লোকসান ছিল ১৩ পয়সা।

আর গত ৯ মাসে (জুলাই, ১৭-মার্চ,১৮) লোকসান হয়েছে ৫ পয়সা। এর আগের বছর একই সময়ে লোকসান ছিল ১১ পয়সা।

রিজার্ভ রয়েছে ৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা।

দুলামিয়া কটন:

দুলামিয়া কটনের তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ’১৮) শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ১ টাকা ৬ পয়সা। এর আগের বছর একই সময়ে লোকসান ছিল ৮৪ পয়সা।

আর গত ৯ মাসে (জুলাই, ১৭-মার্চ,১৮) লোকসান হয়েছে ৩ টাকা ১৩ পয়সা। এর আগের বছর একই সময়ে লোকসান ছিল ২ টাকা ৬৪ পয়সা।

রিজার্ভ লোকসান রয়েছে ২৯ কোটি ২১ লাখ টাকা।

জুট স্পিনার্স:

জুট স্পিনার্স তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ’১৮) শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৩ টাকা ৯০ পয়সা। এর আগের বছর একই সময়ে লোকসান ছিল ১২ টাকা ৬৮ পয়সা।

আর গত ৯ মাসে (জুলাই, ১৭-মার্চ,১৮) লোকসান হয়েছে ১২ টাকা ৪৩ পয়সা। এর আগের বছর একই সময়ে লোকসান ছিল ৩৬ টাকা ১০ পয়সা।

রিজার্ভ লোকসান রয়েছে ২৬ কোটি ৭৭ লাখ টাকা।

কে অ্যান্ড কিউ:

কে অ্যান্ড কিউ তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ’১৮) ইপিএস হয়েছে ৪২ পয়সা। এর আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ৩০ পয়সা।

আর গত ৯ মাসে (জুলাই, ১৭-মার্চ,১৮) ইপিএস হয়েছে ৬৯ পয়সা। এর আগের বছর একই সময়ে লোকসান ছিল ৯৯ পয়সা।

রিজার্ভ লোকসান রয়েছে ১০ কোটি ৫১ লাখ টাকা।

সাভার রিফ্যাক্টোরিজ:

সাভার রিফ্যাক্টোরিজ তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’১৮) লোকসান হয় ৩৩ পয়সা। এর আগের বছর একই সময়ে লোকসান ছিল ৪৪ পয়সা।

আর গত ৯ মাসে (জুলাই, ১৭-মার্চ,১৮) লোকসান হয়েছে ৮৬ পয়সা। এর আগের বছর একই সময়ে লোকসান ছিল ১ টাকা ১৬ পয়সা।

রিজার্ভ লোকসান রয়েছে ৫২ লাখ টাকা।