সুস্থ থাকতে চান? নিরামিষ খান

প্রাত্যহিক জীবনে সুস্থ থাকার বাসনা কার না আছে। সবাই সুস্থ থাকতে চান। মানুষতো বলেই থাকে সুস্থ শরীর সুন্দর মন। তাই মন এবং শরীর সুস্থ রেখে প্রাত্যহিক জীবন অতিবাহিত করা সবারই প্রথম চাওয়া।

তবে সুস্থ থাকতে হলে খাবারের ব্যাপারে সব সময় সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। রসনা বিলাসী হলে সুস্থ থাকার নিশ্চয়তা অনেক কমে যায়। বেশিরভাগ মানুষ নিরামিষের চেয়ে মাছ-মাংস খেতেই বেশি পছন্দ করেন। আমিষভোজী হলে সুবিধাও অনেক, সহজেই শরীরে প্রোটিনের জোগান মেলে। প্রোটিন শরীর গঠনে সাহায্য করে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিরামিষাশীদের সুবিধা আরো বেশি। নিরামিষ শরীরের পক্ষেও ভালো। তই সুস্থ থাকতে চাইলে নিরামিষ খান।

বিভিন্ন ধরনের ফলমূলে পাওয়া যায় প্রাকৃতিক শর্করা, যা শক্তিবর্ধক। বেশি শক্তি মানেই স্ট্যামিনা বেড়ে যাওয়া। সমীক্ষায় দেখা গেছে, শরীরে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় ফল। নিরামিষ খেলে ত্বক কোমল থাকে। নিরামিষ যারা খান, তাদের খাদ্যতালিকায় ফল বেশি থাকে। ফলে থাকে প্রচুর পানি যা শরীরকে কোমল করে।

অন্যদিকে মাংসে থাকে ফ্যাট, যা ত্বককে করে তোলে তৈলাক্ত। ‘হাই ক্যালোরি ডায়েট’ কোলেস্টেরল বাড়ায়। এর ফলে,  ক্যান্সার ও ডায়াবেটিসের মতো মরণব্যাধি হতে পারে। অন্যদিকে, নিরামিষ খাবারে থাকে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ, যা শরীর ও মনকে সুস্থ রাখে। যারা নিরামিষ খান, তারা সাধারণত পশুপ্রেমী হন। তাদের মনটাও সুন্দর হয়। ফল আর শাকসবজি খেলে শরীর থেকে বেশি করে ‘সেরোটোনিন’ হরমোন নিঃসরণ হয়। এর ফলে, মন খুশিতে ভরপুর থাকে।

নিরামিষ ‘সেক্স লাইফ’-র জন্যও অত্যন্ত কার্যকর। আমিষ খেলে শরীরে ‘টক্সিক’ উপাদান ঢোকে। মাংস খেলে শরীর থেকে অ্যামোনিয়ার কটূ গন্ধ বের হয়। কিন্তু, নিরামিষাশী হলে সেই সমস্যা নেই। রোমাঞ্চের সময় তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মাছ, মাংস, ডিম কোলেস্টেরল-এর মাত্রা বাড়ায়। এসব খাওয়ার কারণে সহজেই ক্লান্ত হয়ে পড়ে শরীর।

তাই, আপনার শরীর ও মনের সুস্থতা যদি চান, তবে নিরামিষের ওপর নির্ভরতা বাড়ান।

আজকের বাজার : আরএম/৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮