দেশে রেমিট্যান্স বেড়েছে ২২১ কোটি ডলার

সদ্য শেষে হওয়া ২০১৭-১৮ অর্থবছরে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১ হাজার ৪৯৮ কোটি ডলার। যা গত অর্থবছরে ছিলো ১ হাজার ২৭৭ কোটি ডলার। এ হিসেবে গত অর্থবছরের চেয়ে ১৭ দশমিক ৩ শতাংশ রেমিট্যান্স বেড়েছে। টাকার অঙ্কে প্রায় ২২১ কোটি ডলার।

সোমবার (০২ জুলাই) সন্ধ্যায় প্রস্তুত হওয়া কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

সদ্য শেষ হওয়া অর্থবছরের বৈধ পথে আসা প্রবাসী অর্থের হিসেবে বাংলাদেশের ইতিহাসে এটাই দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স। এর আগে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে সর্বোচ্চ ১৫ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল। টাকার অঙ্কে যা ছিলো ১ হাজার ৪৯৩ কোটি ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, বিদায়ী অর্থবছরের শেষ মাস জুনে ১৩৮ কোটি ২০ লাখ ডলার এসেছে, যা গত বছরের জুন মাসের চেয়ে প্রায় ১৪ শতাংশ বেশি। রোজা ও ঈদ সামনে রেখে অর্থবছরের শেষ দুই মাস মে ও জুনে বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। মে মাসে এসেছিল ১৪৮ কোটি ১৮ ডলার।

তবে প্রবাসী আয় বাড়ার কারণ হিসেবে প্রতিবেদনে দেখানো হয়েছে ডলারের দাম বৃদ্ধিকে। এখন প্রবাসীরা ১ ডলার পাঠালে বাংলাদেশে থাকা তাঁদের আত্মীয়রা এখন ব্যাংক থেকে পাচ্ছেন প্রায় ৮৪ টাকা, আগে যা ছিল ৮০ টাকার নিচে। এজন্য বৈধ পথে রেমিট্যান্স আসার হার বৃদ্ধি পেয়েছে।

একইসঙ্গে প্রবাসী আয় বাড়ায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও বেড়েছে। সোমবার দিন শেষে রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৩১৭ কোটি ডলার।

দীর্ঘদিন ধরে প্রবাসীদের পাঠানো অর্থ বা রেমিট্যান্স গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে আসছে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে। বাংলাদেশের জিডিপিতে ১২ শতাংশ অবদান রাখে প্রবাসীদের পাঠানো এই বিদেশি মুদ্রা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, ৩০ জুন শেষ হওয়া ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থানকারী এক কোটি প্রবাসী এক হাজার ৪৯৮ কোটি (১৪.৯৮ বিলিয়ন) ডলার দেশে পাঠিয়েছেন।  ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ১ হাজার ২৭৭ কোটি (১২.৭৭ বিলিয়ন) ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। এর আগে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে দেশে প্রবাসী আয় এসেছে ১ হাজার ৪৯৩ কোটি ডলার এবং ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ১ হাজার ৫৩১ কোটি ডলার।

আজকের বাজার/এমএইচ