কোটা সংস্কার

আন্দোলনকারী দুই নেতাকে ‘হত্যার হুমকি’

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের দুই যুগ্ম আহ্বায়ককে ‘হত্যার হুমকি’ দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

মঙ্গলবার (১৬ মে) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলে তাদেরকে ‘হত্যার হুমকি’ দেওয়ার ঘটনা ঘ‌টে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক নূর ও রাশেদ খানকে ‘হত্যার হুমকি’ দেওয়া হয়েছে।

এদিকে এ ঘটনায় প্রতিবাদে আবারও উত্তাল হয়ে উঠেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাস। দুপুর সোয়া ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্হাগারের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে আন্দোলনকারীরা। মিছিলটি ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

অভিযুক্ত হুমকিদাতারা হলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ইমতিয়াজ উদ্দিন বাপ্পি, মহসীন হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান সানী, চারুকলা অনুষদ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফাহিম হাসান লিমন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জ্যোতি।

ঘটনাস্থলে ইমতিয়াজ বুলবুল বাপ্পীকে নুরুল হক নুরের প্রতি আগ্রাসী দেখা যায় বলে জানিয়েছে অভিযোগকারীরা। তাকে বলতে শোনা যায়, কেবল আমার হাতটা বাধারে নুর, না হলে তোকে ৩০ সেকেন্ডে…।

হুমকির বিষয়ে নুরুল হক নূর বলেন, ‘কেন্দ্রীয় কমিটির (কোটা সংস্কার) যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ আমার রুমে ছিল। এর মধ্যে চারুকলা অনুষদের ছাত্রলীগের সেক্রেটারি লিমন ফোন দিয়ে থ্রেট দেয় যে, হল থেকে নামিয়ে দেওয়া হবে। পিটিয়ে নামিয়ে দেওয়া হবে। আমরা নাকি সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছি।’

তিনি বলেন, ‘এক পর্যায়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ইমতিয়াজ উদ্দিন বাপ্পি কল নিয়ে বলেন, ছাত্রদলের সুলতান সালাউদ্দিন টুকুতে মারছি। তোদের মতো পোলাপানকে খেয়ে দিতে দুই সেকেন্ডও লাগে না। তোগোরে গুলি কইরা মারি নাই শুধু কিছু সিনিয়রের নিষেধ ছিল। তবে তোরা বাঁচবি না। কিছুদিন পর প্রজ্ঞাপনটা জারি হোক। দেখি তোদের কোন বাপ ঠেকায়।’

তিনি আরও বলেন, ‘তার ১০ মিনিট পরে কক্ষে পিস্তল নিয়ে এসে বলে, তোরা মা-বাবার কাছ থেকে দোয়া নিয়ে নে। তোরা বাঁচবি না। তোদের গুলি করে মারব। আমাকে (নুরুল হক নুর) মারতেও আসে। তারা আমার মোবাইলও নিয়ে যায়। যাতে আমি রেকর্ড করতে না পারি। আমরা এখন জীবননাশের হুমকির মুখে আছি।

তবে ‘হত্যার হুমকি’র অভিযোগ অস্বীকার করে ইমতিয়াজ বাপ্পি বলেন, ফাহিমের ফেসবুক আইডিতে রিপোর্ট করার বিষয়ে জানতে গিয়েছিলাম। এমন কিছুই হয়নি। বরং আমরা যদি বলি তারা আমাদের হুমকি দিয়েছে?

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানি বলেন, আমরা ঘটনাটি শুনেছি। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে জানতে হবে।

আজকের বাজার/ এমএইচ