রিবন্ডেড চুলের যত্ন নেবেন যেভাবে

সোজা, ঝলমলে আর সিল্কি চুল পছন্দ বেশিরভাগ নারীর। অনেকে আবার কোঁকড়ানো চুল একদমই পছন্দ করেন না, তারা সহজেই স্ট্রেইট চুল পেতে করাচ্ছেন বিরবন্ডিং। সবকিছুর মতোই চুল রিবন্ডিংয়েরও কিছু প্রতিক্রিয়া আছে।

অনেকেরই অভিযোগ থাকে যে চুল পড়ে যাচ্ছে, ভেঙে যাচ্ছে, দুর্বল হয়ে গেছে ইত্যাদি। কিন্তু কিভাবে যত্ন নিতে হবে সে সম্পর্কে অনেকেরই জানা নেই। চুল রিবন্ডিং করার পরে নিতে হবে বিশেষ যত্ন।

চুল রিবন্ডিং করে আসার পরে ২-৩ দিন চুল ভেজাবেন না। এরপর রিবন্ডেড চুলের জন্যে উপযুক্ত শ্যাম্পু বেছে বেছে নিবেন। আজকাল বাজারে রিবন্ডেড হেয়ারের জন্য ভালো মানের উপযোগী শ্যাম্পু পাওয়া যায়। এছাড়া প্রতিবার শ্যাম্পুর পর কন্ডিশনার লাগাতে একদমই ভুলবেন না। কন্ডিশনার  লাগাতেই হবে ।

চুল রিবন্ডিং করার পরে নিতে হবে বিশেষ যত্ন নিতে যা যা করবেন:

কোকোনাট অয়েল:

রিবন্ডিং করার ফলে চুলে যে ড্যামেজ-টা হয়েছে, সেটা সারিয়ে চুল হেলদি করে তুলতে পারে কোকোনাট অয়েল। তবে সপ্তাহে ৩ দিন অন্তত চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত অয়েল ম্যাসাজ করতেই হবে।

হট শাওয়ার না নেয়া:

অনেকেরই অভ্যাস থাকে হট শাওয়ার নেওয়ার। কিন্তু চুল রিবন্ডিং করা থাকলে এই অভ্যাসটি আপনাকে ছাড়তে হবে। হট ওয়াটার আপনার চুলকে পুরোপুরিভাবে ড্যামেজ করে দেবে। তাই চেষ্টা করবেন ঠান্ডা পানিতে শাওয়ার নেওয়ার।

রেগ্যুলার ট্রিম:

চুলের আগা রেগ্যুলার ট্রিম করতে ভুলবেন না। এতে করে চুলের আগা ফেটে গিয়ে আপনার চুলের সৌন্দর্য নষ্ট হবে না এবং দেখতেও ভালো লাগবে। এছাড়া এতে করে রিবন্ডিং বেশ সময় পর্যন্ত লাস্টিং-ও করে।

হেয়ার কালার না করা:

চুল রিবন্ডিং করা অবস্থায় অন্যসব কেমিক্যাল প্রোডাক্ট ব্যবহার যেমন হেয়ার কালার অন্তত ৬ মাসের মধ্যে না করাই ভালো। এছাড়াও হেয়ার স্টাইলিং টুলস ব্যবহার থেকেও বিরত থাকুন। যদি ব্লো ড্রায়ার খুব বেশী দরকার পড়ে, তবে কুলিং সেটিং-এ রেখে ব্যবহার করুন।

হ্যাট অথবা ছাতার ব্যবহার করা:

বাইরে বের হলে সাথে হ্যাট অথবা ছাতা সাথে রাখবেন। কারণ, বাইরের সূর্যের ইউভি রে, বৃষ্টির পানি, দূষণ আপনার চুলের জন্য বেশ ক্ষতিকর।

হুট করে যদি বৃষ্টিতে চুল ভিজে গিয়ে থাকে, তবে যত দ্রুত সম্ভব চুল ওয়াশ করে ফেলতে হবে। কারণ, বৃষ্টির পল্যুটেন্টস এবং সল্ট চুলে প্রচুর ড্যামেজ করতে পারে।

চুলের ড্যামেজ রিপেয়ার করতে হেয়ার মাস্ক হতে পারে আপনার অন্যতম বন্ধু। কারণ, আমাদের চুলের ড্যামেজ রিপেয়ার করতে ময়েশ্চার এবং প্রোটিন দরকার হয়। হেয়ার মাস্ক চুলে এসব পুষ্টি দিয়ে চুলকে ডিপ কন্ডিশনিং করতে সাহায্য করে।

প্রতিবার গোসলের পর ভেজা চুলে লিভ-ইন-কন্ডিশনার অথবা হেয়ার সিরাম লাগাবেন। এটি আপনার চুলের শ্যাফট-এ একটা প্রটেক্টিভ ব্যারিয়ার তৈরি করবে এবং চুল থেকে ময়েশ্চার লস হতে দেবে না।

চুল আঁচড়ানোর সময় অবশ্যই মোটা দাঁতের চিরুনি ব্যবহার করবেন। এতে চুল ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।

এসএম/