এখন থেকে কাশেম ড্রাইসেল, কাশেম ইন্ডাস্ট্রিজ

ব্যবসা বহুমুখীকরণে জোর দিচ্ছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রকৌশল খাতের কোম্পানি কাশেম ড্রাইসেলস লিমিটেড। ড্রাইসেল ব্যাটারির বাইরেও বিভিন্ন খাতে ব্যবসা বাড়াচ্ছে তারা। পূর্বঘোষণা অনুসারে এরই মধ্যে কয়েকটি প্লান্ট বসানোর কাজ শেষ হয়েছে। ম্যানুফ্যাকচারিং ও সেবা খাতে আরো বিনিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। এরই ধারাবাহিকতায় কোম্পানির নাম পরিবর্তন করে রাখা হচ্ছে কাশেম ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।

স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে জানা গেছে, কোম্পানির সর্বশেষ পর্ষদ সভায় ২০১৬-১৭ হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের আলোকে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণার পাশাপাশি নাম পরিবর্তন ও ব্যবসা সম্প্রসারণের বিভিন্ন পরিকল্পনা অনুমোদন হয়েছে।

শেয়ারহোল্ডারসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে কাশেম ড্রাইসেলস জানায়, পর্ষদ সভায় সাম্প্রতিক বছরগুলোয় গৃহীত ও বাস্তবায়িত সব সম্প্রসারণ প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে। পাশাপাশি স্বল্প ও মধ্যমেয়াদে কোম্পানির ভবিষ্যত্ ব্যবসায়িক পরিকল্পনাগুলোও সেখানে গৃহীত হয়।

২০১৬-১৭ হিসাব বছরে কাশেম ড্রাইসেলস নতুন একটি অটোমেটিক হাই-প্রেসার ক্যান ম্যানুফ্যাকচারিং লাইন স্থাপন করেছে। পাশাপাশি ক্যান ফিলিং লাইন স্থাপনের কাজও শেষ হয়েছে। নিজেদের উৎপাদিত ক্যানে এয়ার ফ্রেশনার, ডিওডোরেন্ট, হেয়ার স্প্রে, শেভিং ফোম ইত্যাদি ভর্তি করা হবে সেখানে। এর বাইরে ইউএম-ওয়ান ভিনাইল জ্যাকেট ব্যাটারির জন্যও একটি প্রডাকশন লাইন স্থাপন করা হয়েছে, যা তাদের পুরনো লাইনটিকে প্রতিস্থাপন করবে।

স্বল্প মেয়াদে কোম্পানির ভবিষ্যত্ পরিকল্পনা সম্পর্কে কাশেম ড্রাইসেলস জানায়, চলতি হিসাব বছরেই তারা একটি ফুড অ্যান্ড বেভারেজ ক্যান ম্যানুফ্যাকচারিং লাইন স্থাপন করবে। ব্যাটারি ম্যানুফ্যাকচারিং প্লান্টের উৎপাদন সক্ষমতাও বাড়ানো হবে।

দীর্ঘমেয়াদে আরো নতুন প্রকল্পে বিনিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে কোম্পানিটির। এর মধ্যে একটি ফ্লেক্সিবল প্যাকেজিং প্লান্ট, অ্যালুমিনিয়াম ক্যান ম্যানুফ্যাকচারিং ও একটি পূর্ণাঙ্গ হাসপাতাল অন্যতম। আগামীতে কোম্পানির করপোরেট হেড কোয়ার্টার ও পণ্য বিতরণ হাব হিসেবে নিজেদের একটি স্থাপনা করারও পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।

ব্যবসা বহুমুখীকরণকে বিবেচনায় নিয়ে কোম্পানির নাম কাশেম ইন্ডাস্ট্রিজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোম্পনিটি। আসন্ন বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদন পেলে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া শুরু করবে কোম্পানি।

এদিকে সর্বশেষ পর্ষদ সভায় ৩০ জুন পর্যন্ত এক বছরের জন্য ১৮ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ সুপারিশ করেছে কাশেম ড্রাইসেলস। শেয়ারপ্রতি বার্ষিক আয় (ইপিএস) দাঁড়িয়েছে ২ টাকা ১৫ পয়সা, শেয়ারপ্রতি নিট পরিচালন নগদ প্রবাহ ছিল ২ টাকা ৮৩ পয়সা। ২০১৫-১৬ হিসাব বছরে তা ছিল যথাক্রমে ২ টাকা ৩ পয়সা ও ২ টাকা ৬৮ পয়সা। ৩০ জুন কোম্পানির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য দাঁড়ায় ৪৭ টাকা ৪৭ পয়সা।

১৪ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর রাওয়া কমপ্লেক্সে এজিএম আয়োজন করবে কাশেম ড্রাইসেলস। সভার রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ৮ নভেম্বর।